ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইশতিয়াক মাহমুদ সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক এবং ওই মামলার বাদি স্বয়ং বদিউল আলম মজুমদার।

বুধবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক। তিনি বলেন, ইশতিয়াক মাহমুদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল হাসান ওরফে রাসেল, ফিরোজ মাহমুদ, মীর আমজাদ হোসেন, সাজু ইসলাম, রাজীবুল ইসলাম, শহিদুল আলম খান, সিয়াম, অলি আহমেদ ও ইশতিয়াক মাহমুদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। তাদের মধ্যে ইশতিয়াক মাহমুদ পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। ইশতিয়াক ছাড়া ছাত্রলীগের অন্য সব নেতা-কর্মী জামিনে রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট রাতে ড. বদিউল আলম মজুমদারের বাসায় দাওয়াত খেয়ে রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বের হলে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়ঙন্ত্র করা হচ্ছে উল্লেখ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গাড়িবহরে হামলা চালায়। এ ঘটনায় বদিউল আলম বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।
২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আব্দুর রউফ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০২২ সালের ১ মার্চ ৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২৮ মার্চ এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
গত ৪ ডিসেম্বর এ মামলায় ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়। পরে দেখা যায়, এদের মধ্যে সাক্ষী ড. বদিউল আলম মজুমদার, খুশি বেগম ও মাহবুবুল আলম মজুমদার তাদের জবানবন্দিতে ইশতিয়াক মাহমুদের নাম উল্লেখ করেন।

পরে গত ২৭ ডিসেম্বর আদালত মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায় থেকে তুলে এনে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ঢাকার সিএমএম বরাবর পাঠায়। এদিকে ১ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেয়। সেই আদেশমূলে ১৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দেয়া হয়।

আরও খবর