পার্কভিউ হসপিটালে শিশুদের মৃগী রোগ নিয়ে সায়েন্টিফিক সেমিনার
মৃগী রোগ স্নায়ুতন্ত্রের একটি দীর্ঘস্থায়ী জটিল রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাংলাদেশে দেড় থেকে ২ মিলিয়ন খিঁচুনি রোগী রয়েছে। বাচ্চাদের এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সাম্প্রতিক এক জাতীয় পর্যায়ের গবেষণায় দেখা যায় বাংলাদেশের শিশুদের ক্ষেত্রে (১ থেকে ১৭ বছর) প্রতি এক হাজারে ১১ দশমিক ৫ জন মৃগী রোগী।
তাই বুধবার দুপুর ২টায় (১১ অক্টোবর) শিশু মৃগী রোগ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে এক গুরুত্বপূর্ণ সায়েন্টিফিক সেমিনার পার্কভিউ হসপিটালের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ডাঃ মেরিনা আরজুমান্দ এর সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিশু নিউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আলাউদ্দিন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডাঃ এম. এ. হাসান চৌধুরী। প্যানেল অফ এক্সপার্টস হিসেবে ছিলেন – প্রফেসর ডাঃ মোঃ হাসানুজ্জামান ( বিভাগীয় প্রধান – নিউরোলজি বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ) প্রফেসর ডাঃ মোঃ রেজাউল করিম, প্রফেসর ডাঃ এ. কে. এম. রেজাউল করিম ও ডাঃ মোঃ মহিতুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্কভিউ হসপিটালের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ডাঃ এ.টি.এম. রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিশু কিডনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডাঃ বিমল চন্দ্র দাস, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ এ.এস.এম. জাহেদ, ডাঃ মোঃ রেজাউল করিম ও ডাঃ মোঃ ইউসুফ।
সেমিনারে মূল বক্তা পেডিয়াট্রিক এপিলেপসির লেটেস্ট ডেভেলপমেন্ট নিয়ে তথ্যবহুল বক্তব্য প্রদান করেন। প্রধান অতিথি ডাঃ এম. এ. হাসান চৌধুরী এই জটিল চিকিৎসা সমস্যা মোকাবেলায় আন্তঃ বিভাগীয় সহযোগিতার গুরুত্বের উপর জোর দেন।
দেশের প্রতিথযশা চিকিৎসক বৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ প্যানেল শিশু মৃগী রোগ নিয়ে তাদের মূল্যবান বক্তব্য ও পরামর্শ প্রদান করেন। তারা বলেন, প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ভাগ শিশুদের খিচুনি রোগের চিকিৎসা হয় ফকির, কবিরাজ (ট্র্যাডিশনাল হিলার) দ্বারা। ওষুধ দিয়ে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ রোগীর খিঁচুনি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।