চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত তানভীর সিদ্দিকীর মামলার অন্যতম আসামি মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন উসমান শরীফের অপসারণ চেয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামের কাছে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

বৃহস্পতিবার(৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে এ আবেদন করেন নিহত তানভীর সিদ্দিকীর চাচাতো ভাই মিজানুর রহমান মাতাব্বার।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও তারেক বাহিনীর ছোড়া গুলিতে আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী তানভীর সিদ্দিকী নিহত হন।

মহেশখালী উপজেলার ৩ নম্বর কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফের নির্দেশে ও প্রত্যক্ষ মদদে বহদ্দারহাট এলাকায় এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরে গত ১৬ আগস্ট নিহত তানভীর সিদ্দিকীর পরিবারের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলার ৪ নম্বর আসামি তারেক বিন ওসমান শরীফ।

আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর থেকে তানভীর হত্যা মামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ পালিয়ে বিগত ১০ বছর ধরে কালামারছড়া ইউনিয়নে তার নেতৃত্বে গড়ে উঠা স্বশস্ত্র বিহানী নিয়ে বর্তমানে পাহাড়ে অবস্থান করছেন। সক্রিয় রয়েছে তার গড়ে তোলা স্বশস্ত্র বাহিনীও।

বর্তমানে তারা শান্তিপূর্ণ কালারমারছড়া ইউনিয়নকে অশান্ত করে তুলতে স্বশস্ত্র অবস্থান করছে। এছাড়াও দীর্ঘ এক মাস চেয়ারম্যান তারেক বিন উসমান শরীফ পলাতক থাকার কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম। উক্ত হত্যা মামলার আসামীকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণের জন্য প্রতিনিয়তই আন্দোলন চলছে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ তানভীর সিদ্দিকী হত্যা মামলার আসামী তারেক বিন ওসমান শরীফকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদকে প্রত্যাহার করতে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাধিত করবেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের (উপপরিচালক স্থানীয় সরকার) শাহিনা সুলতানা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। প্রক্রিয়া শেষে আমরা বিষয়টি তদন্ত করবো। এর পর ব্যবস্থা নিবো।

আরও খবর