‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক মাস : গণহত্যার বিচার ও আগামীর বাংলাদেশ প্রশ্ন’ শীর্ষক সভা
স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস উপলক্ষে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক মাস : গণহত্যার বিচার ও আগামীর বাংলাদেশ প্রশ্ন’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই আলোচনা সভা। সভায় চট্টগ্রামের আপামর ছাত্র, শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজ অংশগ্রহণ করেন। SAD এই সভায় তাদের ৭ দফা দাবি উত্থাপন করে।
স্টুডেন্টস এলায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি (SAD) এর ৭ দফা
১. সংবিধান সংস্কারের জন্যে সংবিধান সভা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তাতে রাষ্ট্রের সব সম্প্রদায়ের জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হবেন ও গণপরিষদ গঠন করবেন। দরকারে নয়া সংবিধানের বেসিক প্রিন্সিপালের উপর গণভোট হবে। ইন্টেরিম গভমেন্ট স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করে এই পুরো ব্যাপারটার দেখভাল করবেন।
২. জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত, শহীদ, গুম ও ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরী, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিদান ও পুনর্বাসন প্রকল্প প্রণয়ন করা লাগবে।
৩. বাকশালি শাসনের যাবতীয় গুম, খুন, হয়রানি, জেল-জরিমানা, সম্পদ পাচার ও রাজনৈতিক মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, ক্ষতিপূরণ ও সুরাহার বন্দোবস্ত করতে হবে।
৪. ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসনের সকল প্রকাশ্য ও গোপনীয় আন্তর্জাতিক চুক্তি জনতার দরবারে পেশ করতে হবে।
৫. ভোট ডাকাত লীগ সরকারের ভ্যানগার্ড বাহিনী তথা পুলিশ, র্যাব, আমলা, ব্যাংকার সহ আরো যারা যারা জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এই লক্ষ্যে স্বাধীন কমিশন গঠন করা লাগবে।
৬. লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে ক্যাম্পাসভিত্তিক ছাত্রসংসদকেন্দ্রিক ছাত্ররাজনীতি চালু করতে হবে।
৭. অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যত দ্রুত সম্ভব তার কর্মপরিধি, পরিকল্পনা ও সময়সীমা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে।