আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো—‘খুনি হাসিনা’র বিরুদ্ধে গণহত্যার আরও দুই অভিযোগ
জুলাই বিপ্লবে আশুলিয়ায় গুলি করে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর ঘটনায় পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা, তার সরকারের মন্ত্রী, পুলিশ সদস্যসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শহীদ সাবুরের ভাই এবং সজলের মায়ের পক্ষে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম খান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এ অভিযোগ দাখিল করেন। এ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে ‘খুনি হাসিনা’র বিরুদ্ধে ১৪টি গণহত্যার অভিযোগ দেওয়া হলো।
অভিযোগে বলা হয়, ‘গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পর অনুমানিক বিকাল চারটা সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার সকল পুলিশ সদস্য এবং ঢাকা ডিবি উত্তরের সদস্যগণ অর্থাৎ ২২ থেকে ৩০নং আসামিগণ ১-৭নং আসামিগণের আদেশে আন্দোলনকারী ছাত্র জনতাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার হীন উদ্দেশ্যে বিজয় উল্লাসরত ছাত্র জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে আস-সাবুর, আবদুল মান্নান, মিজানুর রহমান, তানজিল মাহমুদ সুজয়, সাজ্জাদ হোসেন সজল এবং বায়েজিদকে হত্যা করে এবং আশুলিয়া থানার সামনেই পুলিশ ভ্যানে নিহতদের লাশ পুড়িয়ে দেয়।’
অপরাধের ধরনে বলা হয়েছে, ১ থেকে ৭ নং আসামীগণের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র জনতাদের হত্যা করে তাদের লাশ আগুনে পুড়িয়ে ফেলে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করিবার উদ্দেশ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অপরাধ।
গণহত্যার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনার সঙ্গে মামলায় সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা জেলার ততকালীন এসপি মারুফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ হিল কাফীসহ দুই অভিযোগে ৬৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।