গণহত্যায় অভিযুক্ত পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত সহচর মোহাম্মদ ইউনুসকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান পদে রাখতে ৫০ কোটি টাকার ফান্ড নিয়ে মাঠে নেমেছে সিডিএর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা। তারা ইতোমধ্যে ঢাকায় ধরণা দিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন, ইউনুসকে সরতেই হচ্ছে সিডিএ থেকে।

গত ২৪ এপ্রিল সিডিএ চেয়ারম্যান পদে যোগ দেয়া ইউনুস তার অল্প সময়ে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। সর্বশেষ জুন ক্লোজিংয়ে ৪৯ কোটি টাকা লুটপাট করতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। স্বাক্ষর ক্ষমতা যাদের আছে তাদের কেউ একজন সেই চেক আটকে দিয়েছেন বলে সিডিএ সূত্রে জানা গেছে।

সিডিএর এক বোর্ড মেম্বার চট্টগ্রাম সময়কে জানান, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ খরচের গত অর্থ বছরে ৪৯ কোটি টাকা খরচ হয়নি। কিন্তু চেয়ারম্যান ইউনুস ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা সেই টাকা আত্মসাত করতে ভূয়া ভাউচার তৈরি করেন। সেটি কোনো এক পর্যায়ে আটকে যায়। ইউনুস পলাতক থাকায় সেই ৪৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ করতে পারেননি।

তিনি আরও জানান, সর্বশেষ আওয়ামী লীগের এই দুর্নীতিবাজ নেতাকে সিডিএ চেয়ারম্যান পদে রাখতে সিডিএর কর্মকর্তাদের মধ্যে দুর্নীতিবাজরা ৫০ কোটি টাকার ফান্ড তৈরি করে ঢাকায় ধরণা দিয়েছেন। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউ তাদের পাত্তা দেয়নি। ফলে ব্যর্থ হয়ে ঢাকা থেকে তারা ফেরত আসেন।

সরকারের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বৈরাচারের পা-চাটা ইউনুসকে সিডিএ চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া হবে।

গত ২৭ আগস্ট ‘বৈষম্যবিরোধী চট্টগ্রাম’র ব্যানারে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুসের পদত্যাগ দাবি জানিয়ে এক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভে বক্তারা দাবী করেন, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সিডিএর বোর্ড মিটিং থেকে ছাত্রদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। পরদিন ৫ আগস্ট কোতোয়ালী থানায় সিডিএ চেয়ারম্যানের নির্দেশে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর চালানো হয়। এতে সিডিএর বিভিন্ন পদের কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত ছিলেন।

আরও পড়ুন: সিডিএ চেয়ারম্যান ইউনুস—জনরোষের ভয়ে পলাতক তবুও থেমে নেই অন্যায় আদেশ

আরও খবর